সবুজের বুকে
- Get link
- X
- Other Apps
https://www.blogger.comhttps://www.facebook.com/smjuel.rana.3https://www.blogger.com/blogger.g?
‘জীবিকার জন্য গাছ, জীবনের জন্য গাছ’ স্লোগান নিয়ে গত ৪ জুন শুরু হয় মাসব্যাপী এই মেলা। তবে গত মাসের রোজা ও ঈদ থাকায় দর্শনার্থী কম ছিল। তাই সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে যেতে হলে হাতে সময় আছে মাত্র আর চার দিন। মেলা চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
ছিমছাম মেলাপ্রাঙ্গণ। নেই টিকিট কাটার ঝামেলা, ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়ি। মেলায় আসা মা-বাবার সঙ্গে শিশুদের উৎসাহ ছিল বেশ। গাছের নাম, ফুলের নাম জানতে চাইছিল তারা। বাবার হাত ধরে মিরপুর থেকে এসেছে সাত বছরের মেয়ে মিম। দৌড়ে দৌড়ে ছুটে যাচ্ছিল ফুল গাছের দিকে। এক-দুবার ফুল ছিঁড়ে বসে। তবে শিশুর কাণ্ড দেখে নার্সারির লোকজন বকা না দিলেও ফুল ছিঁড়তে হয় না বলে তাকে বুঝিয়ে দেয়।
আরেক নার্সারির গাছের সারিতে ঝুলে থাকা বড় বড় আম দেখে মুখ হা হয়েছে ছয় বছরের আবিরের। বলে বসে ‘এত্ত বড় আম’। শুধু যে শিশুরা তা নয়, বড়রাও কম যান না। বলধা গার্ডেনের নার্সারিতে ছিল বিশাল আকৃতির ‘আমাজান লিলি’। বড়-ছোট সবাই ছবি তুলতে বসে যান পাতার মতো দেখতে সেই লিলির পাশে।
বেশ ভিড় দেখা যায় আরেকটি নার্সারিতে। সেখানে আছে বিশাল আকৃতির ক্যাকটাস। নাম গোল্ডেন ব্যারেল। দাম হাঁকা হচ্ছে তিন লাখ টাকা। বলা হচ্ছে, এই ক্যাকটাসের বয়স ৫৫ বছর।
হোসেন নার্সারির মালিক সাদ্দাম হোসেন জানান, মেলায় আসা লোকজনের ফলের গাছের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। তবে বেশি কিনছেন ফুল ও শোভাবর্ধনকারী গাছ। কারণ হিসেবে বললেন, ঢাকা শহরে বেশির ভাগ মানুষই ভাড়াটে। তাই বড় গাছ কিনতে চান না। জায়গার অভাবে বারান্দায় ফুলের গাছ লাগিয়ে তৃপ্ত তাঁরা। তাঁর স্টলে রয়েছে নলিনী পামগাছ। সাদ্দামের দাবি, এই গাছের বয়স ৬০ বছরের বেশি। তাঁর বাবা ১৮ বছর আগে থাইল্যান্ড থেকে গাছটি এনেছেন। ২০১৬ সালে দাম উঠেছিল ১ লাখ ৮০ হাজার। এবার দাম চাচ্ছেন তিন লাখ। এই স্টল মিলবে বিদেশি কিউই ফলের চারা।
লালবাগ থেকে এসেছিলেন সীমা নামের এক তরুণী। তিনি কিনেছেন চালতাগাছের চারা। বললেন, বাড়ির ছাদে শখের বাগান আছে। এই চালতাগাছটি তিনি এখন ছাদে লাগাবেন। পরে লাকসামে বাড়ি যাওয়ার সময় নিয়ে যাবেন।
এ ছাড়া রয়েছে তেজপাতা, কারি পাতা, নিলগাছ, বাসকপাতা, এলাচি, গোলমরিচ, পোলাওপাতা, দারুচিনি, মেহেদি, অ্যালোভেরাসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধি ও মসলা গাছের চারা।
হবি অ্যান্ড নেচার নামের স্টলে শুধু গাছই নয়, বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফুল ও সবজির বীজ। এ ছাড়াও মেলায় আছে নানান ধরনের জাপানি বট, চায়নিজ বটসহ নানা ধরনের বনসাই ও অর্কিডের জাত। আছে ইনডোর প্ল্যান্টের কয়েকটি স্টল।
গাছ পরিচর্যার জন্য আছে জৈব সার, বীজ, কীটনাশক, বাগান পরিচর্যার সরঞ্জাম, ফুলের টব এবং গাছের খাবার ভিটামিন। মিলছে গাছসংক্রান্ত বইও।
মেলায় তথ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত বন কর্মকর্তা রেজাউল হক খান বলেন, ৬ জুলাই বিকেল চারটা পর্যন্ত ১০ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭৪টি চারা বিক্রি হয়েছে। এর মূল্য ৪ কোটি ১৭ লাখ ৪২ হাজার ১৬১ টাকা। নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, তথ্যকেন্দ্রসহ সরকারি-আধা সরকারি ১০টি স্টল আছে মেলায়। আর মোট স্টল ১০০টি।
Facebook
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment